SEO (search Engine Optimaization) কি ঃসার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন হল কোন ওয়েবসাইট কিংবা কন্টেন্টকে গুগুল বা সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে নিয়ে আসার এবং মানুষের কাছে প্রদর্শন করার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।এতে করে অর্গানিক ভিউয়ার পাওয়ার এবং অনলাইনে ইনকাম বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
|
Search Engine Optimization |
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে যে কেউ সার্চ ইঞ্জিন ব্যাবহার করে একটি ওয়েব সাইটকে বিনামূল্যে সকলের কাছে পৌছে দিতে পারে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) - কে সংক্ষেপে SEO এসইও বলে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) বা SEO কেন গুরুত্বপূর্ণঃ
অনলাইনে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার কন্টেন্ট আপলোড হয় আর প্রতিটি পোষ্ট কিংবা কন্টেন্ট মানুষের পড়া বা দেখা সম্ভব নয়।তাই কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্ট গুলোই মানুষ চাই এবং সেগুলোই চয়েস করে।তাই মানুষ চাই যা সেসকল কন্টেন্ট সার্চ দেওয়ার সাথে সাথে প্রথম পেজে পাওয়ার জন্য হাই কোয়ালিতি সম্পন্ন SEO (Search Engine Optimization) এর প্রয়োজন।আপনার কন্টেন্ট সকলের কাছে উপস্থাপন করতে এসইও করা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
SEO (Search Engine Optimization) কত প্রকার তা আগের একটি পোষ্টে বলা হয়েছে।আজ আমরা ON PAGE SEO নিয়ে আলোচনা করব।আশা করি এটি আপনার জন্য উপকার হয়ে থাকবে।
ON PAGE SEO : অন-পেজ এসইও (ON PAGE SEO) এমন একটি পদ্ধতি যা সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চতর র্যাঙ্ক এবং আরও সম্ভাব্য ট্রাফিক পাওয়ার জন্য পৃথক ওয়েব পেজগুলোকে অপ্টিমাইজ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। অফ পেজ এসইওঃ অফ-পেজ অপ্টিমাইজেশান বলতে বোঝায় যা সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টে (SERP) একটি ওয়েবসাইটের র্যাংক উন্নত করতে ভূমিকা রাখে।
ON PAGE SEO কী?
ON PAGE SEO হলো হলো আপনার ওয়েবসাইটের পেজের মধ্যে এমন কিছু ওয়ার্ড লিখবেন যাকে বলা হয় কিওয়ার্ড এবং এমনভাবে লিখবেন যাতে Google ঐ কিওয়ার্ড বা ওয়ার্ডের ভিত্তিতে আপনার পোস্টটি Google আপনার পোস্টটি Rank করে।
একটি পোষ্টের টাইটেল বা হেডিং কিভাবে দিবেন এবং সেখানে কোন ছবি ব্যবহার করবেন সব কিছুই ON PAGE SEO এর মধ্যেই পড়ে।
বর্তমানে গুগুলে র্যাংক করাতে এবং বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন হতে ভিজিটর পেতে সেই সাথে পোষ্ট সবার ঊপরে রাখতে অন পেজ এসইও করা অত্যন্ত জরুরি।অনথাইয় গুগুল থেকে ভিজিটর পাবেন না এমন কি অনলাইন থেকে ইনকাম ও করতে পারবেন না।
কিভাবে করবেন ON PAGE SEO?
অন পেজ এসইও এর মাধ্যমে আপনি গুগুলকে সংকেত দেবেন যে এই keyword যখন Google এ কেউ সার্চ করবে তখন আমার ওয়েবসাইট যেন Google দেখায়।
অথবা অন্য ভাবে বলতে গেলে যে টপিক এ আপনি পোস্ট টা লিখছেন তাই কেউ যদি এরকম কিছু কিওয়ার্সাড দিয়ে সার্চ করে তাহলে আমার website যাতে প্রথম পেজে দেখায় ।
তাই অন পেজ এসইও করার পদ্ধতি গুলো পয়েন্ট এর মাধ্যমে আমি নিচে শেয়ার করলাম।
উদ্দেশ্যঃ
- অন পেজ এসইও করার প্রধান কারন হলো মানূষ গুগলে যে বিষয়ে জানতে চাই তা যদি আপনার লেখা কন্টেন্ট এর মতো হয় তা যেন গুগল সেই ভিজিটর কে দেখায়।তাই কিছু পদ্ধতি অনুসরন করতে হয়।
- উদাহরন হিসেবে বলা যায়,ধরুন আপনি চাইছেন FACEBOOK এ LOGIN করতে ।তাই আপনি গুগুলে বা সার্চ ইঞ্জিনে লিখে সার্চ দিলেন ফেসবুক লগিং বা FACEBOOK LOGIN।আর সাথে সাথে গুগুল আপনাকে সবার উপরে ফেসবুকে লগিং করার লিংক প্রদর্ধন করল আর আপনি তাতে লগিং করার জন্য প্রবেশ করলেন ।আর এটি হলো অন পেজ এসইও।
- অন পেজ এসইও এর উদ্দেশ্য হল ভিজিটর যেই বিষয়ে গুগলে বা অন্য যেকোন সার্চ ইঞ্জিনে যাই keyword লিখে সার্চ করুক না কেন সেই ধরনের পোষ্ট বা কন্টেন্ট খুজে পাই।আর সেই খোজার মধ্যেওই যেন আপনার কন্টেন্ট টি থাকে তাই সেই সকল কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
Expertise, Authoritativeness, and Trustworthiness(EAT):EAT এর বাংলা বলতে গেলে আসে অভিজ্ঞতা,অভিজ্ঞতার প্রমান,বিশ্বাসযোগ্যতা। গুগুল সাধারনত সেই সকল কন্টেন্ট প্রথমে দেখায় যেখানে গুগল সহ সকল ভিজিটর বিশ্বাসযোগ্যতা পায়।কারন ভিজিটর তখনই কন্টেন্ট বিশ্বাস করবে যখন তা থেকে উপকার পাবে এবং তা অন্য মানুষকে সেই কন্টেন্ট দেখার জন্য সাজেস্ট করবে।আর তখনই গুগল বিশ্বাস করে এবং সেই কন্টেন্ট সবার প্রথমে হাজির করে।
এই জন্য অভিজ্ঞতার আলোকে কন্টেন্ট লিখতে হবে তা যেন গুগল বিশ্বাস করে এবং তা গুগল র্যাংক বৃদ্ধি করে।কন্টেন্ট দেখে যেন মনে হয় আপনি একজন এক্সপার্ট।আর তখনই আপনার পেজে ভিজিটর আসা বৃধি পাবে সেই সাথে বৃদ্ধি পাবে আপনার অনলাইন ইনকাম।
টাইটেল(Title):
আপনার কন্টেন্টের টাইটেল এমন হওয়া উচিত যাতে ভিজিটর যে চাই বা যে Key-Word লিখে সার্চ দিবে তা যেন আপনার টাইটেলে পেয়ে যায় এবং গুগল সেই ভিজিটর কে সাজেস্ট করে আপনার পোষ্টিতে প্রবেশ করার জন্য আর আপনি পেয়ে যান একজন অর্গানিক ভিজিটর।
টাইটেল সাধারনত সবসময় বড় হওয়ায় ভাল তাই টাইটেল নির্ধারন করার সময় কিওয়ার্ড সমৃদ্ধ বড় টাইটেল দিতে হবে।এতে কন্টেন্ট এবং ওয়েবসাইট দুটোই র্যাংক বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
মেটা ডেসক্রিপশন (Meta Description)ঃ
মেটা ডেস্ক্রিপশন হলো কন্টেন্ট গুগলে র্যাংক করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।Meta Description সব সময় গুগলে টাইটেলের লিচে দেখা যায়।আর তাই Meta Description এমন হওয়া উচিত যেন ভিজিটর Meta Description দেখে সেই পোষ্টে ক্লিক করতে বাধ্য থাকে।
পোস্টে সঠিক keyword এর ব্যবহার ঃ
পোষ্টে keyword এর ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।পোষ্টটিকে গুগলে র্যাংক করার জন্য মাঝে মাঝে কিছু keyword এর ব্যবহার করতে হবে।যে সকল কিওয়ার্ড গুলো প্রায়শই মানুষ সার্চ দিয়ে থাকে।
গুগল সাধারণত কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর সাহায্য কাজ করে তাই ভিজিটর যা চাই যে কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিক না কেন তা যদি এই পোষ্টের মত হয় ,তাহলে গুগল যেন সেই keyword এর সাহয্য বুঝিয়ে দেই যে এই পোষ্টটি সেই রকম যে রকম পোষ্টের জন্য ভিজিটর গুগলে লিখে সার্চ দিয়েছে।তাই পোষ্টের মাঝে মাঝে keyword ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
ব্লগিং করার ক্ষেত্রে কন্টেন্ট লিখার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস--
- প্রথম অনুচ্ছেদে বা First Paragraph এ keyword দিতে হবে।তবে শুধুমাত্র keyword দিলেই হবেনা।keyword গুলোকে সাজিয়ে গুছিয়ে বাক্যর মত করে লিখতে হবে।
- প্রথম অনুচ্ছেদে যেই keyword টি লিখবেন মাঝখানেও সেই keyword টি লিখবেন।
- এমনকি শেষ অনুচ্ছেদেও সেই keyword টিউ লিখবেন।
- আর টাইটেলে তো অবশ্যই keyword দিয়ে টাইটেল লিখবেন।
তবে একটি সতর্কতা অবলম্বন করবেন আর তা হলো অনেক বেশি keyword কোন পোষ্টে দিবেন না।
সঠিক ইমেজ বা ছবির ব্যবহারঃ
আপনি যেই কন্টেন্ট লিখবেন তার সাথে যেন একটি কিংবা একাধিক কোয়ালিটি সম্পন্ন ছবি বা ইমেজের ব্যবহার হয়ে থাকে ।সেই ছবিতে অবশ্যই alt text এর ব্যবহার করে থাকবেন এবং ছবির টাইটেল ব্যবহার করবেন আর তাতে অবশ্যই keyword এর ব্যবহার করতে হবে।যাতে সেই keyword দিয়ে সার্চ করার সাথে সাথে গুগুল সেই ছবি কে সাজেস্ট করে এবং সেই ছবির মাধ্যমে অর্গানিক ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই ইমেজ বা ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
সতর্ক বার্তা ঃ ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যেন পোষ্টটিতে ব্যবহৃত ইমেজ বা ছবিটি Unique হয়।
দীর্ঘ ওয়ার্ডের ব্যবহার(Word Length):
বেশির ভাগ সময় দেখা যায় গুগুল সাধারনত বেশি ওয়ার্ড সম্বলিত পোষ্ট বসা কন্টেন্ট গুলোকে প্রথম পেজে দেখায় সেজন্য সবসময় চেষ্টা করতে হবে যেন যেই বিষয় নিয়ে আপনি আর্টিকেল লিখছেন তা যেন দীর্ঘ ওয়ার্ডের হয় এবং তা গুনগত keyword সম্বলিত হয়।
গুগলে র্যাংক বৃদ্ধি করতে সবসময় চেষ্টা করতে হবে যেন কন্টেন্টটি ১৮০০ কিংবা ২০০০ শব্দের নিচে না হয়।তাহলে দ্রুত র্যাংক বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকবে।
কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে একটি কথা মাথায় রাখা উচিত একই ধরনের বাক্য যেন বারবার ব্যবহার করা না হয়।আর আরেকটি কথা আর তা হল ১৮০০ কিংবা ২০০০ অধিক শব্দ যদি লিখতে না পারেন তাহলে যেন তা ১২০০ শব্দের নিচে না হয়।
সঠিক URL এর ব্যবহারঃ
আপনি যে কন্টেন্টটি লিখলেন বা লিখবেন সেই অনুযায়ী যে সকল কিওয়ার্ড ব্যবহার করেছেন বা করবেন সেই সকল কিওয়ার্ডের মধ্যে যেন URL ব্যবহার হয়।
পরিশেষে বলে রাখতে চাই আপনি যদি ব্লগিং করতে চান সেই সাথে অভিজ্ঞতার সাথে এক্সপার্টের মত কন্টেন্ট লিখে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চক্সান।সকলের কাছে পৌছাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এসইও সম্পর্কে ধারনা থাওক্তেয়া হবে।এবং কন্টেন্ট লেখার৪ ক্ষেত্রে অবশ্যই পোষ্ট সম্বলিত Keyword এর সঠিক ব্যহার নিশ্চিত করতে করতে হবে।
আশা করি অন পেজ এসইও সম্পর্কে আপনাদের অনেক ধারনা হল এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ওফ পেজ এসইও সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাকাএ উতসাহিত করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন